কক্সবাজার, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

বিএনপি থেকে এসেই আওয়ামী লীগের সভাপতি!

পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে সভাপতি নির্বাচিত করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ায় কমিটি বাতিল ঘোষণা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

শনিবার কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান কমিটি বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গতকাল শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্ব ঘোষিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র মুজিবুর রহমান, সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলমসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। যথারীতি কাউন্সিলরদের ভোটে আসাদুজ্জামান চৌধুরী সভাপতি ও বেলাল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। কিন্তু এরপরই আসাদুজ্জামান চৌধুরীর দলীয় পরিচয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এর মাঝে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দলীয় স্লোগান দিতেও পারেননি আসাদুজ্জামান চৌধুরী। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশন কাউন্সিল শুরু হচ্ছিল। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান কাউন্সিলে সভাপতি-সম্পাদক প্রার্থীদের স্লোগান দিতে বলেন। এই স্লোগান দিতে ব্যর্থ হয় বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে আসা মো. আসাদুজ্জামান চৌধুরী। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।

পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা অভিযোগ করে বলেন, বিশাল অংকের টাকার বিনিময়ে পেকুয়া উপজেলা বিএনপি’র সাবেক নেতা আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর করা হয়েছে। চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার ইন্ধনে এই কাজটি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।

শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী খানে আলম বলেন, আসাদুজ্জামান চৌধুরী পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরও ছিলেন না। কিন্তু চকরিয়া আওয়ামী লীগের ‘বড়’ এক নেতার আশীর্বাদে তিনি সম্মেলনে শিলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সম্মেলনে দলীয় স্লোগান দিতে বলা হলে, আসাদুজ্জামান চৌধুরী ব্যর্থ হন। বরং তিনি দলীয় স্লোগান বিকৃত করেন।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে ওই কমিটিতে আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। যা খুবই দুঃখজনক। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে পরামর্শক্রমে জেলা আওয়ামী লীগ বিতর্কিত এ কমিটি বাতিল করে।

পাঠকের মতামত: